প্রবাসীর স্ত্রীকে 'ধর্ষণে' ভাগ্নের সহযোগী মামা গ্রেপ্তার Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




প্রবাসীর স্ত্রীকে ‘ধর্ষণে’ ভাগ্নের সহযোগী মামা গ্রেপ্তার

প্রবাসীর স্ত্রীকে ‘ধর্ষণে’ ভাগ্নের সহযোগী মামা গ্রেপ্তার

প্রবাসীর স্ত্রীকে 'ধর্ষণে' ভাগ্নের সহযোগী মামা গ্রেপ্তার




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। ঢাকার ধামরাইয়ে সোমবার রাতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের মামা ফরিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

মঙ্গলবার ফরিদকে (৫৫) সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ফরিদ ধর্ষণের শিকার মেয়েটির চাচাতো চাচা। ঘটনাটি ঘটেছে রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা গ্রামে। তবে অভিযুক্ত স্বজনদের অভিযোগ, বাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য সাজানো মিথ্যা মামলা করেছে।

 

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে আব্বাস আলীর মেয়ে দুই সন্তানের জননী তারা বানু তার বাবার বাড়িতে ঘুমিয়েছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ধর্ষণ করে একই ইউনিয়নের সুঙ্গর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে মারফত আলী (মারফত আলী তারাবানুর ফুপাতো ভাই)। ধর্ষণের সময় ঘরের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন তার (মারফত) আপন মামা ফরিদ মিয়া।

 

এ ঘটনায় ওই রাতেই মারফতকে প্রধান আসামি ও তার মামা ফরিদ মিয়াকে সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার তারা বানু। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধামরাই থানার এসআই মোখলেছুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের সহযোগী ফরিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

 

 

স্থানীয়রা জানায়, তারা বানুর বাবা আব্বাস আলী ও ফরিদ মিয়া আপন চাচাতো ভাই। এদের দুজনের মধ্যে ৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

 

এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিস বৈঠক হয়েছে। ওয়ারিশসূত্রে মালিক হয়ে জনৈক দুই ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক শতাংশ জমি ক্রয় করে নেন আব্বাস আলী। কিন্তু ওই জমিতে দিনমজুর ফরিদ পূর্ব থেকেই বাস করে আসছিলেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। ঘর ভেঙে ওই জমি দখল ছেড়ে দেওয়ার জন্য বেশ চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন আব্বাস। এ নিয়ে প্রায় মাসখানেক আগে দুই পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এরই মধ্যে আব্বাস আলী জমি উদ্ধারে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থায় আবেদন করেন।

 

 

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির পরিচালক রহিমা বেগম বলেন, আব্বাস আলী ও ফরিদ আলীর মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়ে গত ৬ ডিসেম্বর ঘটনাস্থলে মীমাংসার জন্য বৈঠক করা হয়েছে। আব্বাসের মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার সহযোগী হিসেবে ফরিদকে আসামি করা ঠিক হয়নি।

 

 

ফরিদের বোন ছাহেরা ও শ্যালক সেলিম হোসেন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় ষড়যন্ত্র করে একটি জঘন্য মামলায় আসামি করা হয়েছে। স্থানীয় মেম্বার সারোয়ার মোল্লা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় নিরীহ দিনমজুর ফরিদকে একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

 

ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মূল আসামি মারফতকে না পেলেও সহযোগী ফরিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তিনি বলেন, তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হলে নারী নির্যাতন আইনের বিধি অনুযায়ী বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD